প্রকাশিত: Thu, Mar 2, 2023 5:34 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 9:39 AM

না ভোট প্রথা চালু থাকা উচিত ছিলো, বলছেন বিশ্লেষকেরা

ভোটে ভোটার খরায় বর্ষার স্নিগ্ধতা আনার চেষ্টা

ভূঁইয়া আশিক রহমান: ‘ভোটার হবো নিয়ম মেনে, ভোট দিবো যোগ্যজনে’Ñএই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার পালিত হলো পঞ্চম জাতীয় ভোটার দিবস। 

ভোটে ভোটার খরা কাটাতে নির্বাচন কমিশন বা সরকারের যে চেষ্টা তা কি যথেষ্ট? ভোটারদের অধিকার সংকুচিত হয়ে আসছে, দিনে দিনে ভোট প্রয়োগে অনুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন ভোটাররাÑএমন আলোচনার বাস্তবতা কতোটুকু? কেন ভোট কেন্দ্রে ভোটার খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো? দায় কার? 

জানতে চাইলে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকার জাতীয় ভোটার দিবস কেন করলো আমি বুঝি না! কারণ বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবেÑএটা জেনেশুনেই বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। এখন ভোটার দিবস হয়তো এজন্যই যে, আমার কাছে মনে হয়Ñযার যা নেই সে তা চায়। এখন নির্বাচনে ভোটার নেই। সর্বসাম্প্রতিক যে নির্বাচন হয়ে গেলো, সেখানেও ভোটারের সংখ্যা নিয়ে আমাদের নানাবিধ প্রশ্ন আছে। 

তার মতে, নির্বাচনের ভালো পরিবেশ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভোটারের জন্য চিন্তা করতে হয় না। ভোটার দিবস পালন করে সরকার এই বার্তাই দিয়ে দিলো যে, আমাদের ভোটারের খরা চলছে। এই খরা থেকে বর্ষার স্নিগ্ধতা কীভাবে আনা যায়, সেই চেষ্টা সরকারকেই করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে। নির্বাচন কমিশন এখনো জনগণের আস্থায় আসতে পারেনি।  ভোটার দিবস দুটি অর্থ বহন করে। একটি হচ্ছে সরকার চায় নির্বাচনে ভোটার ভোট দিতে আসুক। আরেকটি অর্থ ভোটার ভোট দিতে আসেন না বলেই সরকার এটি করছে। 

তিনি বলেন, যোগ্যতার প্রশ্ন যখন আসে তখন যারা ভোট প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান, তাদের যোগ্যতা আমার কাছে বিবেচ্য। সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো নাগরিক বিশেষ বয়সে ভোটার হতে পারে। কিন্তু প্রার্থীর যোগ্যতা, নিশ্চয়তা আমাকে দিতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ‘না ভোট’ প্রথা চালু থাকা উচিত ছিলো। 

গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশ থেকে ভোটের ব্যবস্থা তুলে দেওয়া উচিত! শুধু শুধু টাকা খরচ। কারণ আমরা জানি, নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত! সুতরাং কী আর দরকার ভোটের। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব